ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ফুসফুসের ক্যান্সার এড়াতে ‌’নকল ডিম’ চিনুন

image-72295-1491108749বর্তমানে কৃত্রিম বা নকল ডিমের বিষয়টি আর গুজব নয়। এটি কঠিন সত্য হিসেবে বাস্তবে ধরা দিয়েছে। এখন কম-বেশি আমরা সবাই নকল ডিমের কথা জানি। অনেকের আবার নকল ডিম কিনে খাওয়ারও অভিজ্ঞতা হয়েছে। চীন থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ডিম বাংলাদেশে-ভারত-মায়ানমার সহ আশেপাশের অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়ার কারণেই মূলত এমনটি হচ্ছে। চীনে তৈরি হওয়া এসব কৃত্রিম বা নকল ডিম অনেক বিষাক্ত। এগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। গবেষকরা বলেছেন, দীর্ঘদিন এই ধরনের ডিম খেলে স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। আবার ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফুসফুসের ক্যান্সারসহ জটিল রোগের কারণ।

২০০৪ সাল থেকেই তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম ডিম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য প্রকাশ হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ডিমে কোনো খাদ্যগুণ ও প্রোটিন নেই, বরং তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়া মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট মর্নিং নিউজ এজেন্সি-সহ বেশ কয়েকটি বিদেশি মাধ্যম থেকে জানা যায়, মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ ওই দেশের বিভিন্ন এলাকায় সীমান্তের চোরাপথে চীন থেকে কৃত্রিম ডিম পাচার হচ্ছে। চোরাপথে সেই ডিম ভারত-বাংলাদেশ সহ আশপাশের অন্যান্য দেশেও সয়লাব হয়েছে। যা দেখতে একদম হাঁস-মুরগির ডিমের মতোই।

তাই নকল বা কৃত্রিম ডিমের বিষয়টি এখন আর কোনভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নকল ডিম চেনার উপায় জানুন-

#  কৃত্রিম ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড় ও লম্বাটে ধরণের হয়ে থাকে।

#  এই ডিম সিদ্ধ করলে কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়।

# ভাঙার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।

# কৃত্রিম ডিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। এর খোসা অল্প চাপেই ভেঙে যায়।

# এর খোলস খুব মসৃণ হয়। খোসায় প্রায়ই বিন্দু বিন্দু ফুটকি দাগ দেখা যায়।

# রান্না করার পর এই ডিমে অনেক সময়ই বাজে গন্ধ হয়। কিংবা গন্ধ ছাড়া থাকে। আসল কুসুমের গন্ধ পাওয়া যায় না।

# নকল ডিমকে যদি আপনি সাবান বা অন্য কোন তীব্র গন্ধ যুক্ত বস্তুর সঙ্গে রাখেন, ডিমের মধ্যে সেই গন্ধ ঢুকে যায়। রান্নার পরেও ডিম থেকে সাবানের গন্ধই পেতে থাকবেন।

# নকল ডিমের আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য লক্ষণ হলো ডিম দিয়ে তৈরি খাবারে এটা ডিমের কাজ করে না। যেমন- পুডিং বা কাবাবে ডিম দিলেন বাইনডার হিসাবে। কিন্তু রান্নার পর দেখবেন কাবাব ফেটে যাবে, পুডিং জমবে না।

# নকল ডিমের কুসুমের চারপাশে রাসায়নিকের পর্দা থাকে বিধায় কাঁচা কিংবা রান্না অবস্থাতে কুসুম সহজে ভাঙতে চায় না।

পাঠকের মতামত: